সেনজেন ভিসা পেতে করনীয়: ইউরোপের হাতছানি

admin
admin
Oplus_0

**ইউরোপ যাওয়া আহামরি কোনো বিষয় না**

আপনার যদি উদ্দেশ্য হয় ইউরোপ তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।

ইউরোপের ভিসার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে তা বলে দিচ্ছি
১/ দালাল থেকে দূরে থাকতে হবে।
২/ নিজেকে মানষিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে
৩/ কে কি বলছে বা বলবে তা পরিহার করতে হবে।

আপনারা চাইলে এটা নিয়ে আমি একটা ভিডিও করে দিতে পারি।

নিম্নে আবেদনের প্রক্রিয়ার একটা সিম্পল দিলাম

সেনজেন টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

সেনজেন টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

শেঞ্জেন টুরিস্ট ভিসা পেতে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়, তার সম্পূর্ণ তালিকা ও বিস্তারিত তথ্য নিচে দেয়া হলো। এই নির্দেশিকাটি আপনাকে সহজে এবং সঠিকভাবে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের তালিকা:

১. পাসপোর্ট
– মেয়াদ: আবেদন করার সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
– খালি পাতা: পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি খালি পাতা থাকতে হবে।
– পূর্বের ভিসা কপি: পূর্বের শেঞ্জেন বা অন্য দেশের ভিসা থাকলে তার কপি সংযুক্ত করতে হবে।

২.সেনজেন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
– ডাউনলোড: পর্তুগিজ MFA ওয়েবসাইট থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। অথবা যে দেশের জন্য জমা দিবেন ঐদেশের ওয়েবসাইটে পাবেন।
– পূরণ ও সাইন: ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে। যদি আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হয়, তবে গার্ডিয়ানের সাইন প্রয়োজন।

৩. ছবি
– সাইজ: ভালো কোয়ালিটির ছবি, ৩৫x৪৫ মিমি সাইজ।
– ব্যাকগ্রাউন্ড: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা।

৪. ট্রাভেল হেলথ ইন্সুরেন্স
– কভারেজ: কমপক্ষে ৩০,০০০ ইউরো সমপরিমাণ মেডিকেল এবং ইমারজেন্সি সিচুয়েশন কাভার করবে।
– ভ্যালিডিটি: শেঞ্জেনভুক্ত সব দেশে কাভার হবে এবং ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি সময়ের জন্য ভ্যালিড থাকবে।

৫. পেমেন্ট
– ফি: আশি ইউরো (প্রায় ১০,৪০০ টাকা)।
– পেমেন্ট মেথড: ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পেমেন্ট করতে হবে।

৬. রিটার্ন এয়ার টিকেট
– বুকিং প্রমাণ: রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি সংযুক্ত করতে হবে।

৭. সেনজেন টুরিস্ট ভিসা কাভার লেটার
– ব্যক্তিগত তথ্য: আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।
– ভ্রমণের কারণ: সেনজেন ভ্রমণের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
– ভ্রমণের সময়সূচি: কোন তারিখে ভ্রমণ করবেন এবং কত তারিখে ফিরে আসবেন তা উল্লেখ করতে হবে।
– অন্য দেশ ভ্রমণ: পর্তুগাল ছাড়াও শেঞ্জেনের অন্য কোন দেশ ভ্রমণ করবেন কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
– পর্যটন পরিকল্পনা: কোন কোন দেশ ভ্রমণ করবেন তার তথ্য প্রদান করতে হবে।

৮. ব্যাংক স্টেটমেন্ট
– সাধারণত ৩-৬ মাসের: সাম্প্রতিক ৩-৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।

৯. হোটেল রিজার্ভেশন বা টুরিস্ট অ্যাপার্টমেন্ট বুকিং কপি
– বুকিং প্রমাণ: থাকার ব্যবস্থা প্রমাণ করার জন্য হোটেল বা অ্যাপার্টমেন্ট বুকিংয়ের কপি সংযুক্ত করতে হবে।

১০. প্রোফেশন সম্পর্কিত তথ্য
– পেশাগত প্রমাণ: আপনার বর্তমান পেশা সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমনঃ চাকরির সার্টিফিকেট, ব্যবসা হলে ব্যবসার লাইসেন্স।

ডকুমেন্টসের ভাষা

সবগুলো ডকুমেন্ট অবশ্যই ইংরেজিতে সাবমিট করতে হবে। যে ডকুমেন্টগুলো বাংলায় রয়েছে সেগুলো ট্রান্সলেট করে ইংরেজিতে করতে হবে।

শেঞ্জেন ভিসার সুবিধা

একটি মাত্র শেঞ্জেন ভিসা দিয়ে ইউরোপের ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি আপনাকে ইউরোপীয় দেশগুলোতে অবাধে ঘুরতে এবং উপভোগ করতে সহায়তা করবে।

সেনজেন টুরিস্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এই ডকুমেন্টগুলি সঠিকভাবে প্রস্তুত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সাথে অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট সঠিকভাবে জমা দিন। এতে আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং সফল হবে।

Share this Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *